”স্বার্থক জনম জম্ম আমার কুড়িগ্রামে,
স্বার্থক জনম আমি বলতে পারি কথা,
আমার আঙ্চলিক ভাষাতে,
প্রতিটি মানুষের কাছে জননী ,জম্মভূমি স্বর্গ অপেক্ষায় শ্রেষ্ঠ । তেমনি আমার কাছে আমার জম্মভূমি ।সৌন্দয়ের এক লীলাভূমি ,সৌন্দয়ে ভরপুর , ধরলা ,তিস্তা ,দুধকুমার ,ব্রক্ষপুএ মতো ১৬ টি নদীতে বিধোত । সৌন্দয়ে আর তারুণে ভরপুর খাকললেও উওরবঙ্গ সবচেয়ে অবহেলিত ,দারিদ্র-পীড়িত এলাকা হিসাবে পরিচিত । এই জেলারকে আবার অনেকে বাহের দেশ বলে থাকে ।
ভৌগোলিক সীমারেখা;-
কুড়িগ্রাম জেলার মোট আয়তন ২২৪৫.০৪[৮৬৬.৭৮১বর্গ;কিঃ] আদমশুমারি ২০১১। যার উওরে লালমনিরহাট ও ভারতের পঙ্চিমবঙ্গ ,দক্ষিণে গাইবান্ধা ,পূর্বে ভারতের মেঘালয় রাজ্য ও যমুনা নদী ,পঙ্চিমে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলা । এর স্থার্নাঙ্গ ২৫.৭৫ উত্তর ৮৯.৬৬। আর্ন্তজাতিক সীমারেখা রয়েছে ২৭৮.২৮ কি.মি । কুড়িগ্রামে রয়েছে ভারতীয় সীটমহল ১২ টি । ভারতের অভ্ন্তরে বাংলাদেশের ১৮ টি সিটমহল। সীট মহলগুলো বিলুপ্ত, যা শুধু অতীত ।কুড়িগ্রামের মোট জনসংখ্যা ২০৬৯২৭৩জন । এর ঘনত্ব ৯২০জন । প্রতি বর্গমাইলে ২৪৪০ জন
কুড়িগ্রামের ইতিহাস;-
কুড়িগ্রামের আছে নিজেস্ব ইতিহাস, আছে স্বকীয়তা ,আছে বৈশিষ্ঠ্য । একদিনে বা এক যুগে গড়ে উঠেনি । সুর্দীঘ যুগের চড়াই উৎরাই ,ভাংগা –গড়া ,জয়-পরাজয় ,। আন্দোলন –সংগ্রাম মধ্যেদিয়ে তা গড়ে উঠেছে । অতি প্রাচীন কাল থেকে এ জনপদ প্রাগৈতিহাসিক আদিম সভ্তার লীলাভূমি । এ অঙ্চলের ব্রক্ষপুএ –তিস্তা উপত্যকেয় আদিম মানুষের ১ম অবিভাব ঘটেছিল । নিগ্রে- অগ্রিক দ্রাবিড়- মঙ্গলীলয় জনগোষ্ঠীর মিলিত রক্ত ধারায় গড়ে উঠেছে । এখানকার প্রাচীন সভ্যতা যা অর্নায নামে সবর্জন স্বীকৃত। এ অঙ্চলের মানুষের চেয়েরায় ,আকৃতি রক্তে-ভাষায় আচরণে প্রতৈহিহাসিক জনগৌষ্ঠির ছাপেই শুধু বিদ্যমান নয় , অনেক বৈশিষ্ঠ্য আজ্ও বিদ্যমান রয়েছে ।
এ জনপদ কখন ও পৌড় বধনে কখনো প্রাগ-জ্যেতিষপুরে অঙ্চলের অন্তভূক্ত ছিল । এ অঙ্চল ছিল অর্নায় অধ্যুষিত অঙ্চল । ব্রক্ষপুএ উপত্যকায আযরা সহজে প্রবেশ করতে পারে নাই । তাই আযাদের কোন চিহৃ বা পরিচয় এ অঙ্চলে মেলে নাই । একারণে ব্রাক্ষ্য ধর্ম এ অঙ্চলে সর্মাদৃত হয়
নাই । এ জনপদের উওরে অংশ নাগেশ্বরী , ভূরুঙ্গামারী ছিল কুচবিহরে এবং দক্ষিণাংশ উলিপুর, চিলমারি ও রৌমারি ছিল উয়ারী রাজ্যর অংশ । আজ্ও উয়ারী রাজ্যর স্তৃতি উলিপুরের , উলিপুর থেকে ৪ কি.মি পূর্বে উয়ারী নামক জনপদ দাঁড়িয়ে আছে । এই জনপদে ময়নামতি ,মানিক চাঁদ ,গোপীচাঁদ ,ভবচাঁদ ,উদয়চাঁদ ,অদুনা- পদুনায় অনেক কাহিনী লোক মুখে প্রচলিত। আর কুচবিহার রাজ্যর স্তৃতি লালমনিরহাট , নাগেশ্বরী , ভূরুঙ্গামারী অঙ্চলে । এ অঙ্চলে সেন বংশের রাজা ছিলেন নীলধবজ ,চএুধবজ,নীলম্বর । এ নীলম্বর ছিলেন সেন বংশের শেষ রাজা । তার রাজধানী ছিল চতরা নামক স্থানে । যা উলিপুরের বিদ্যান্দ নামক স্থানে বিদ্যামান । ১৪১৮
সালে গৌড়ের সুলতান হোসেন শাহ এই রাজ্য আক্রমন করেন। তিস্তা নদীর তীরে তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ নীলম্বর পরাজিত ও আসামে পালিলে যায় । এ অঙ্চলে সেন বংশের পরাজয়ের কারণে, মোগল সাম্যাজের পরাজিত, করতলে আসে। তবু্ও অঙ্চলের মানুষ থেমে থাকে নি ,বার
বার করেছে বিদ্রোহ । তাই মোগল সাম্যাজের সেনাপতি বিদ্রেহীদের দমনে বারবার এসেছেন । কেননা হিমালয় পবর্ত ও আসামের গাঢ় পাহাড় শ্রেণীর পাদদেশে গুরুত্বপূণ
ছিল এ জনপদ । ইষ্ট্- ইন্ডিয়ান কোম্পানীর রাজত্ব এ অঙ্চলের মানুষ মেনে নেয়নি । ব্রিটিশ কোম্পানীর দালাল দেবী সিংহ ও হরেবাস এ অঙ্চলের দেওয়ান হয় ।তাদের মেনে না নেওয়ায় ,তাদের অত্যাচার ,শোষণ ,নিপিড়ন ফলে এ অঙ্চলে দেখা দেয় ইতিহাসের প্রসিন্ধ
ছিয়াওরের মন্বন্তর । এতে এ অঙ্চলের হাজার হাজার মহিল ,শিশু ,পুরুষ মৃত্যা বরণ করেছে। এ অঙ্চলের মানুষ ছিল মুক্তি- কামী ,স্বাধীনতার জন্য ,মুক্তির জন্য মনজু শাহ ,
নুর উদ্দিন ,কারেন জং ,ভবানী পাটক ,দেবী চৌধুরাণী , দয়াশীল মুসা শাহ প্রমৃখের নেতৃত্বে মুক্তির সংগ্রাম করেছে । আজ ও প্রাচীন কালের অনেক স্তৃতি পাঠকপাড়া ,চজরা ,ধরণীবাড়ী ,সুভার কুঠি ,আমিন বাজার ,মোগলবাছা , নাজিম খাঁ বড়বাড়ি ,চিলমারী ,উলিপুর,ভূরুঙ্গামারী ,নাগেশ্বরী প্রভৃতি বিদ্যামান ।
কুড়িগ্রাম জেলার সৃষ্টি ও নামকরণ;
১৯৮৪ সালের ২৩ শে জানুয়ারী ,কুড়িগ্রাম সদর ,নাগেশ্বরী,ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী ,রাজারহাট ,উলিপুর ,চিলমারী ,রাজিবপুর, রৌমারী ৯ টি থানা নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার সৃষ্টি হয় । কুড়িগ্রাম জেলার নামকরণ নিয়ে নানা মতবাদ থাকলে ও, কুড়িটি জেলে পরিবারকে মহারাজা বিশ্ব –সিংহ উচ্চ শ্রেণীর হিন্ধুরুপে স্বীকৃত দিয়ে পাঠিয়ে দেয় বলে এ নাম করণ। অনেকে মনে করেন
…। কিন্ত বিলু কবীরের ইতিহায় বই থেকে জানা যায় ,এখানে কুড়িটি সর্চে তৈল কারী ছিল বলে কুড়িগ্রাম নামকরণ করা হয়েছে । এ ছাড়া মি . ভাস তার রংপুর বিররণীতে এ অঙ্চল কে কুড়িগাঁও বলে উল্লেখ করেছেন এছাড়া এর চেযে বেশি কিছু পাওয়া যায় নি । হয়তবা এ
ধারা-বাহিকতায় আজকের কুড়িগ্রাম নাম ।
প্রশাসনিক এলাকা :
কুড়িগ্রামে রয়েছে ৯টি উপজেলা ,
১।কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ,
২।নাগেশ্বরী উপজেলা;
৩।ভুরুঙ্গামারী উপজেলা,
৪।রাজারহাট উপজেলা,
৫।উলিপুর উপজেলা [আয়তনে বড়]
৬।চিলমারী উপজেলা,
৭।রাজিবপুর উপজেলা
৮।রৌমারী উপজেলা
৯। ফুলবাড়ী উপজেলা
এই ৯টি উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন ৪ টি । এখানকার
মোট ভোটার ১২,২৪,৬৬১জন । যার পুরুষ ৫,৮৬,৪৮৩ জন, ও নারী
৬,৩৮,১৭৫ । যার থানা রয়েছে ১১ টি, ইউনিয়ন রয়েছে ৭২ ,
মৌজা ৫৭৮ টি ,গ্রাম ১৮৭২ টি , পৌরসভা ৩টি ,শিক্ষার
হার ৪২.৫% ,কলেজ রয়েছে ৬৪টি ,হাইস্কুল ২৬৬টি
,মাদ্রাসা ২৩৮টি ,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
৫৫৩টি,বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪৫টি ,মসজিদ
৩৪৯৩টি ,মন্দির ১৮০টি ,গির্জা ১৫টি ,হাসপাতাল ৯ টি ।
চিত্তার্কষক স্থান;-
১। ধরলা ব্রিজ ,
২। ধরলা বাঁধ ,
৩।স্বাধীনতা বিজয় স্তম্ভ,
৪।চান্দামারী মসজিদ
৫। টুপামারী [জিয়াপুকুর]
৬।মুস্নীবাড়ী[ধরণীবাড়ী]
৭। ধার্মশ্রেণী মন্দির
৮। বেহুলার চর ,
৯।সোনাহাট ব্রিজ
১০।ফুল সাগর,
১১।নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ী ,
১২।মুক্তি-যোদ্ধার স্তৃতি ফলক,
১৩।রমনা ঘাট[চিলমারী]
জেলার পএ-পত্তিকা
১। চাওয়া-পাওয়া
২।জাগো বাহে,
৩।বাহের দেশ ,
৪।কুড়িগ্রামের খবর
৫।গ্রামান্তর
৬।আয়না
৭।চৈত্তি
এ জেলার মানুষের আয়ের উৎস :
আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৭০.৪১% ,অর্থকারী ফসল– ধান,গম,পাট,তামাক,সুপারী ,বাঁশ,আখ,ভ্রট্টা,আলু,বাদাম, কাউন, ইত্যাদি এ জেলার মানুষের প্রচলিত সঙ্গিত ভাওয়াইয়া,পল্লিগীতি,বাউলগান ,চটকা, গোয়ালী,পাঁচালী,জারী ,প্রবাদ-বচন ,লোকগাঁথা,মুশীদ প্রভৃতী
কৃতি ব্যক্তিত্ব;-
কুড়িগ্রাম জেলার বেশ কিছু জ্ঞানী ব্যক্তির তথ্য যা আসলে আমার জানা ছিলনা। আগে জানতাম কুড়িগ্রামে কবি একজন সৈয়দ শামসুল হক, এখন জানলাম আরও একজন হামিদা সরকার নামে মহিলা কবি আছেন । এমনকি এই
জেলায় বিজ্ঞানী সতিশ চন্দ দাস গুপ্তের মত লোক ছিলেন। আবার যখন দেখি প্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত তহমিনা খান ডলি কুড়িগ্রামে জন্ম গ্রহন করেছেন। ১৯৭৯ সালে
তিনি শ্রীলংঙ্কা ও মালদ্বীপের হাই কমিশনার নিযুক্ত হন। আগে জানতাম সব কিছু বরিশালে আমাদের দিকেও কিছু কিছু আছে শহীদ লেঃ আবু মঈন মোঃ আসফাকুস সামাদ বীরউত্তম জন্ম ঢাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচে লেঃ হন। একাত্তরে ভুরুঙ্গামারী- নাগেশ্বরী রণাঙ্গনে অসংখ্য সামরিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলায় মুক্তিযুদ্ধে বীরউত্তম খেতাব পাওয়া একমাত্র শহীদ।সৈয়দ মনসুর আলী টুংকু বীরবিক্রম জন্ম আসাম। ভারত বিভক্তির পর কুড়িগ্রামে আগমন। বিমান বাহিনীর চাকরি ছেড়ে মুসলিম লীগে যোগ দেন। কুড়িগ্রামের মানুষের কাছে তিনি ”গরীবের বন্ধু টুংকু ভাই” হিসেবে পরিচিত।মোঃ
বদরুজ্জামান মিয়া বীরপ্রতীক জন্ম ফুলবাড়ী। ৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাকবহিনীর গোলাবর্ষণে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ’৭১ মার্চে তাঁর নেতৃতেই ফুলবাড়ীতে সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে একটি ইউনিট গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি শিরোনামে তাঁর রচিত একটি গ্রন্থ আছে।আব্দুল হাই সরকার বীরপ্রতীক জন্ম কুড়িগ্রাম। প্রথম ব্যাচে যে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে রণাঙ্গনে আসেন তাদের একজন আঃ হাই সরকার।তার নেতৃত্বে ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহর পাকহানাদার মুক্ত হয়।কাজী ইমদাদুল হক জন্ম কুড়িগ্রাম। ১৯২১ সালে
অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয়। গান্ধীর স্বদেশি আদলে ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ভোগডাঙ্গা রুরাল উইভিং স্কুল। কাজী ইমদাদুল হক বঙ্গীয় প্রাদেশিক পরিষদে ৩৫ বছর প্রতিনিধিত্ব করেন। তাকে সংসদে ‘উত্তরবঙ্গের বাঘ’ বলা হতো।বিজ্ঞানী সতিশ চন্দ দাস গুপ্ত জন্ম কুড়িগ্রাম। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও বাংলার গান্ধী নামে পরিচিত। নারীমুক্তি হরিজন উন্নয়ন, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ আন্দোলন গড়ে তোলেন। তিনি মাতগুড় থেকে এ্যালকোহল, রেক্ট্রিফাইড স্প্রিট এবং সালফিউরিক এসিড তৈরি করেন।অগ্নিনির্বাপক ফায়ার কিং, বর্তমানের
পরিচালনযোগ্য টিউবয়েল, সাশ্রয়ী রঞ্জন পদ্ধতি, গোবরের গ্যাস প্লান্ট, বাঁশের ছিলকা দিয়ে
স্বল্পমূল্যের কাগজ, দড়ি ও সুতলি তৈরীর ক্ষুদ্র মেশিন প্রভৃতি আবিষ্কার করেন।আব্দুল হাই শিকদার: জন্ম ভূরুঙ্গামারী। কবি, লেখক ও সাংবাদিক। নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক।সাহিত্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ (ভোলা মিয়া) জন্ম কুড়িগ্রাম। ১৯৭০-এ এমএনএ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে ছয় নম্বর সেক্টরে রাজনৈতিক দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন। ১৯৭৩, ১৯৭৯,১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে সাংসদ এবং চারবার মন্ত্রিসভায় সদস্য ছিলেন। স্পিকার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।পানাউল্লাহ আহমেদ জন্ম কুড়িগ্রাম। তিনি ১৯২৭ সালে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে
যোগদেন। উত্তরবঙ্গের তিনি প্রথম মুসলিম ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ১৯৪৭-এর পর যে ক’জন বাঙালি
পূর্ব পাকিস্তানকে উন্নয়নের ধারায় সংযুক্ত করতে চেয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিলেন তিনি। মেজর জেনারেল (অব) আমসাআ আমিন: জন্ম উলিপুর।’৭১- এ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তান থেকে বিমান নিয়ে পালানোর সময় বন্দী হন। সেখান থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ আলী মন্ডল:জন্ম রাজারহাট: মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসাবে অবসর নেন।ডিজিএফআইয়ের পরিচালক ছিলেন।মোহাম্মদ আবু
হাফিজ জন্ম রৌমারী। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলার ডিসি এবংসরকারের সচিব ছিলেন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কমিশনার। বিচারপতি এটিএম সাইফুর রহমান লিটন উলিপুরের সন্তান। বিলেত থেকে বার এট ল করেন। এর আগে রংপুর ও কুড়িগ্রামে আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন।তিনি কুড়িগ্রামের প্রথম নাগরিক যিনি বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করেছেন।বিচারপতি আলতাফ হোসেন: জন্ম ভুরুঙ্গামারী : বিলেত থেকে বার এট ল করেন। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল
ছিলেন। ভারত উপমহাদেশে তিনি কনিষ্ঠ বিচারপতি। জাহেদুল হক মিলু জন্ম নাগেশ্বরী। বর্তমানে
বাসদখালেকুজ্জামানের কেন্দ্রেয়নেতা।শহীদ রাউফুন বসুনিয়া জন্ম রাজারহাট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ছিলেন। ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা ছাত্র আন্দোলনের অপরাধে তাকে ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয়।তহমিনা খান ডলি জন্ম কুড়িগ্রামে। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত। ১৯৭৯ সালে তিনি শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। হামিদা সরকার জন্ম কুড়িগ্রাম। নারী সংগঠক
ও লেখিকা। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘আলোর পথে,’ ‘অগ্নিগিরি’ । তার সম্পাদনায় ‘জননী’ নামক একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। কচিকাঁচার মেলা, মকুল ফৌজ, জাগরণী মহিলা সমিতি,অভিযাত্রিকসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। প্রফেসর ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার
জন্ম ১৯৫৫ ফুলবাড়ী। মুক্তিযোদ্ধা, দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। দেশের অন্যতম সেরা অর্থপেডিসার্জন।। .ভুরুঙ্গামারীর সামসুল হক চৌধুরী ছিলেন এমএলএ ও গভর্নর আমি গর্বিত আজ কুড়িগ্রামের লোক হতে পেরে
মহান মুক্তিযুদ্ধে এ জনপদের লোকের অবদান;-
আগেই বলা হয়েছে যে , এ জনপদের মানুষ মুক্তিকামী । তারা পরাজয়কে মেনে নেয় না। সব সময় স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে । তারেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১সালে যখন সারা দেশ উওাল ,শোষণ, নিযার্তনের বিরুদ্ধে র্সোচ্ছার ,তখন এ জনপদের মানুষ রাজনৈতিক
কবির ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত হাতে নিয়ে যুদ্ধ করে । মুক্তিযোদ্ধের কিছু করুণ কাহিনী যা না বললে নয়……………..
১৯৭১ সালে এইজেলার ,উলিপুর উপজেলা মুক্তিবাহিনীরা একটি পাক-বাহিনীর কনভয় আক্রমন করে । ২০ মে হানাদার বাহিনী চিলমারী উপজেলার ৩০ জন নিরীহ মানুষকে ব্রক্ষপুএ নদের তীরে হত্যা করে । ১১ নভেম্বর ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় পাক-বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের সময় ভারতীয় বাহিনীর মেজর রামাসিংহ সহ মিএ বাহিনীর ৬৯ জন ও মুক্তিবাহিনীর ৫ জন শহীদ হন ।
তাছাড়া ১৩ই নভেম্বর পাক-বাহিনী উলিপুর উপজেলা হাতিয়ায় প্রায় ৭০০ জন নিরীয় মানুষকে হত্যা করেন । এবং ১৯ নভেম্বর নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঙ্জ লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনীর লে,ক. সামাদ সহ ৩ জন শহীদ হন ।20নভেম্বর এক লড়াইয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা,শতাধিক
পাক-বাহিনী নিহত এবং বীর উওম লে.আবু সাঈদ সহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন । এছাড়া পাক-বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ২৬ শে নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধরা সোনাহাট ব্রিজ ধ্বংস করে দেয় । এবং নাগেশ্বরী উপজেলা সন্তোষপুর ইউনিয়নের নীলরে খামার মৌজার পাক-বাহিনী ৭২ জনকে হত্যা করে । এবং নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উওর –পঙ্চিমের মাঠে পাক-বাহিনী ৩৫ জনকে জীবিত পুরিয়ে মারে । উলিপুর উপজেলা দুর্গাপুর ইউনিয়নের আম-খানায় মুক্তিবাহিনী
,পাকবাহিনীর প্রতিরোদ গড়ে তোলে ,তুমুল যুদ্ধ হয় । যুদ্ধে আমার মামা ন্ওয়াব আলি সহ অনেক মুক্তি-যোদ্ধা শহীদহন। এছাড়া এ জেলার আর অনেক র্স্পশকাতর ইতিহাস আছে । অনেক ইতিহাস এখন ও লোক মুখে প্রচলিত । সেগুলো খাতা –কলমে মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে শেষ করা যাবে না । আমি পরিশেষে এটাই বলব ,যুদি একটি সঠিক নেতৃত্ব এই জনপদ পায় ,তাহলে অন্য জনপদের মত এই জনপদ
মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ।তথ্যসুত্র-ইন্টারনেট